‘ক্ষমতায় থাকার জন্য বিএনপি নেতাদের গুম-খুন করেছিল হাসিনা’

তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার আমলে গুম হতে হয়েছে অন্তত দুইবার। ২০১৪ সালে তিন মাস ১৭ দিন ও ২০১৮ সালে তিনদিন গুম হতে হয়েছে। দেড়শর বেশি মামলার আসামিও করা হয়েছে। কারাবরণ করতে হয়েছে বহুবার।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে প্রথমবার তাকে ধানমন্ডির মেট্রো শপিং মল ও শেষবার রমনা হোটেলের ভেতর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে চালানো হয় অমানসিক নির্যাতন। প্রথমবার তাকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফরিদপুরের কানাইপুরে মহাসড়কে ও শেষবার রমনা থানায় রেখে যায় অজ্ঞাতরা। গুমে থাকাকালীন সময় পরিবার ছিল দুঃচিন্তায়, আর ভয়াবহ আতঙ্কে। এমন নির্যাতনের বর্ননা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন কেন্দ্রীয় এই নেতা।

তালুকদার খোকন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি প্রবেশ করেন খোকন তালুকদার। রাজনীতিতে আসার সময় থেকে এখন পর্যন্ত বড় একটি সময় ছিলেন বিরোধীদলে। শত নির্যাতনের পরও টিকে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ ছিল বলেও দাবি তার। যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় ছিল তারা প্রত্যেকেই এমন ঘটনার শিকার। সহকর্মীদের মনবল ভেঙে দেওয়ার জন্যই শেখ হাসিনা সরকার একের পর এক গুম-খুন চালিয়েছিল।

কেন্দ্রীয় বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। দেশ ও জাতির উন্নতি হবে। নিজের স্বার্থ নয়, দলকে ভালবেসে কাজ করলে দেশের মানুষ ভাল থাকবে। দল থেকে দীর্ঘদিনে যা পেয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট, আগামীতে থাকবেন নতুন নির্দেশনার অপেক্ষায়।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক হিসেবে ১৯৯৮ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন বর্তমান কেন্দ্রীয় বিএনপির এই নেতা। তার বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম খান্দুলী গ্রামে। তার বাবা হাজী এছাহাক উদ্দিন রতন তালুকদার ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন দীর্ঘদিন। খোকন তালুকদার ২০১৮ সালে মাদারীপুর-০৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। পরিবারে স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে তার।

প্রতিনিধি/টিবি