নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে বন্দরের নবিগঞ্জ গুদারাঘাটের মধ্যে চলাচলকারী সিএনজির টোল ২০ টাকার পরিবর্তে জোর করে ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের টোল আদায়ের নামে বিএনপি নেতা ও ইজারাদার মাসুদ রানার বিরুদ্ধে এমন চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, সরকার নির্ধারিত ২০ টাকার পরিবর্তে নবীগঞ্জ ঘাটে নিজের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রতিটি সিএনজি থেকে জোর করে ৫০ টাকা করে আদায় করে নিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানার লোকজন।
কেউ এই বাড়তি টাকা দিতে অস্বীকার করলেই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর করে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
![]()
এ ঘটনার প্রতিবাদে বন্দরের নবিগঞ্জ ঘাটে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিএনজি চালকরা। পরে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
বিজ্ঞাপন
নবীগঞ্জ ঘাট সিএনজি স্ট্যান্ডের চালকদের পক্ষে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে বন্দর থানাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত চার্ট অনুযায়ী প্রতিটি সিএনজি থেকে দৈনিক ২০ টাকা টোল আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও সিটি টোল ইজারাদার মো. মাসুদ রানা, তার সহযোগী রাজু ও শাহ জালালের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিটি গাড়ি থেকে ৪০ টাকা করে টোল আদায় করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিটি করপোরেশনের টোল ইজারাদার মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা ৪০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা টোল আদায়ের ঘোষণা দেন।
ওই সময় চালকরা বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে নবীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল করে ওই বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ইজারাদার ও বিএনপি নেতা মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, নবীগঞ্জ স্ট্যান্ডে চোরাই গাড়ির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরাই গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে আমি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, টোলের পরিমাণ সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে ২০ টাকা। এর বাইরে এক টাকাও কারও বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। আর চোরাই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইজারাদারকে তো এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আর তাকে ২০ টাকার জায়গায় ৫০ টাকা দিলেই কি চোরাই গাড়ি চলাচলের বৈধতা পাবে? আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
প্রতিনিধি/এসএস

