রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মিয়ানমারে ফের গোলাগুলির শব্দ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা 

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার
প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০১:২১ এএম

শেয়ার করুন:

মিয়ানমারে ফের গোলাগুলির শব্দ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা 

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা বাড়ছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান সীমান্তের লোকজন।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার রাত ১১ থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় ভোর পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: সীমান্তে নারী-শিশুসহ ৩৯ জনকে হস্তান্তর

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত রাত থেকে ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কুমিরখালী, শীলখালী ও সাইডং এলাকা থেকে ব্যাপক গোলাবারুদের শব্দ ভেসে এসেছে।

রোহিঙ্গা নেতা জমির উদ্দিন বলেন, রাখাইনে এখনও অমানবিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি, ফলে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা বন্ধ হচ্ছে না। মূলত প্রাণে বাঁচতে তারা এপাড়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সীমান্তে বেশকিছু রোহিঙ্গা জড়ো হচ্ছে বলে আমারও জেনেছি স্বজনদের কাছ থেকে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপাড়ে শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলি শনিবার ভোর পর্যন্ত চলে। রাখাইন রাজ্যের দখল নেওয়া মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার ৬২ জন রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছে বিজিবি। এখনও সীমান্তের ওপাড়ে হাজারো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।

আরও পড়ুন: সীমান্তে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ পাচারকারী আটক

বিজিবির অধিনায়ক বলেন, কিছু লোক সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। যে-সব পয়েন্ট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছে, সেখানে আমরা টহল বৃদ্ধি করেছি। পাশাপাশি গত রাতে সীমান্তের ওপাড় থেকে গোলার শব্দের বিষয়টি জেনেছি। কিন্তু সেটি আমার ইউনিটের বাইরে।

সীমান্তে গোলাগুলির বিষয়টি স্থানীয় সূত্রে জেনেছি উল্লেখ করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, সীমান্তে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে প্রতিরোধ শুরুর এক বছরেরও বেশি পরে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি।  এরপর থেকেই সীমান্তে অস্থিরতা বাড়তে থাকে।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর