রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কুড়িয়ে পাওয়া চিলছানাকে সন্তানের মতো লালন-পালন করেন ঝুমুর

জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৫, ০১:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

কুড়িয়ে পাওয়া চিলছানাকে সন্তানের মতো লালন-পালন করেন ঝুমুর

বরগুনার শহীদ স্মৃতি সড়কের একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন ঝুমুর আক্তার। মানবিক কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন স্থানীয়দের কাছে। পথের ধারে কুড়িয়ে পাওয়া একদিন বয়সী একটি চিলছানাকে প্রায় আট মাস ধরে লালন-পালন করেন তিনি। পাখিটি যখন বড় হতে থাকে, তখন বন্যপ্রাণী পালনের নিয়ম আইনি দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ হওয়ায় ঝুমুর আক্তার যোগাযোগ করেন বন বিভাগের সঙ্গে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে খুলনা বন বিভাগের একটি টিম এসে পাখিটিকে গ্রহণ করে নিয়ে যায় বন্যপ্রাণী ট্রিটমেন্ট সেন্টারে। সেখানে চিকিৎসা ও পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে পরবর্তীতে সেটিকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন


thumbnail_FB_IMG_1755670575990

স্থানীয়দের ভাষ্য, ঝুমুর আক্তারের এই উদ্যোগ সত্যিই অনুকরণীয়। তারা মনে করেন, এ ধরনের মানবিক কাজ সমাজে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুন

‘তোর বাবা টাকা দিতে পারে না, তোকে পরীক্ষা দিতে হবে না, বলে বের করে দেয়

ঝুমুর আক্তার বলেন, একদিনের একটি মুরগির বাচ্চার মতোই আমি এই চিলছানাটাকে পথের পাশে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। তখন থেকে নিজের সন্তানের মতোই যত্ন নিয়েছি। তবে বড় হওয়ার পর বুঝলাম বন্যপ্রাণী ঘরে রাখা ঠিক নয়। তাই বন বিভাগের কাছে দিয়ে দিলাম যেন পাখিটা মুক্ত আকাশে ফিরে যেতে পারে।


বিজ্ঞাপন


পরিবেশকর্মী আরিফুর রহমান জানান, আমাদের চারপাশে এমন অসংখ্য মানবিক মানুষ রয়েছেন বলেই এখনও বন্যপ্রাণীগুলো বেঁচে আছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেকের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা জরুরি।

thumbnail_FB_IMG_1755670578627

বাংলাদেশ বন বিভাগ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের (খুলনার বয়রা উপজেলা) ইকথিওলজিস্ট (মৎস্য বিশেষজ্ঞ) কর্মকর্তা মো. মোফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, মানুষের এমন সহযোগিতামূলক আচরণ আমাদের কাজকে সহজ করে তোলে। সাধারণ মানুষের এই সচেতনতা থাকলে বন্যপ্রাণী রক্ষা আরও সহজ হবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর