রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘আমি মরার কারণ হলো লতিফ শিকদারের একমাত্র ছেলে পান্না’

জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১২ এএম

শেয়ার করুন:

‘আমি মরার কারণ হলো লতিফ শিকদারের একমাত্র ছেলে পান্না’
অভিযুক্ত পান্না শিকদার।

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন (১৬) নামে এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে।


বিজ্ঞাপন


মৃত্যুর আগে সে দেড় পৃষ্ঠার একটি হৃদয়বিদারক চিরকুট লিখে গেছে, যেখানে পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের ব্যর্থতার বর্ণনা দেওয়া।

নিহত নাসরিন রঘুনাথপুর গ্রামের দীনমজুর এসকেন্দার মিয়ার মেয়ে এবং হক মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

thumbnail_1000140223

ওই শিক্ষার্থীর ভাগিনা জানান, সে মারা যাওয়ার কারণ খাতায় লিখে গেছে। আমরা পড়ছি। একটা ছেলের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন রিলেশন ছিল। সেই ছেলে বিয়ার প্রত্যাশা দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করছে। এখন সে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। এজন্য সে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। যে ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্ক করত, সে ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার নাম পান্না শিকদার। তার বাবার নাম লতিফ সিকদার।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, আমি বেলা ১টার দিকে খবর পেয়ে দোকান থেকে এসে দেখি মারা গেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন

প্রসূতির পেটে গজ-প্যাড রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ

মৃত শিক্ষার্থীর ভাবী জানান, ওই ছেলেটি ওকে ডিস্টার্ব করার কারণে অনেক দিন স্কুলে যেতে পারেনি। অনেক খারাপ খারাপ কথা বলেছে। ওকে বিয়ে করবে না বলায় ও আত্মহত্যা করেছে। আমরা এর শাস্তি চাই। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

চিরকুটে লেখা ছিল, আমি মরার কারণ হলো লতিফ শিকদারের একমাত্র ছেলে পান্না শিকদার। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার দেহ ভোগ করেছে। আমার শেষ ইচ্ছা ওর এমন সাজা হোক যাতে আমার মতো আর কারও জীবন না নষ্ট করতে পারে। মা-বাবা, ভাই-বোন। পারলাম না তোমাদের কথা রাখতে। আমাকে মাফ করে দিও। আমি বিয়ে করলেও কোনোদিন সুখী হতাম না। আমি তো এমনিতে জাহান্নামি। আর মা, আমি নেই তো কি হইছে। আরও তো ভাই-বোন আছে। আমাকে বিয়া দিবা না? মনে করবা আমি শ্বশুর বাড়ি। কান্না করবা না একটুও। আমার বুকে না অনেক কষ্ট। তাই আর সহ্য করতে পারলাম না। পান্নার জন্য কিনা করছি। কিন্তু ও মিথ্যা অপবাদ দিলে। আমি নাকি সব বেডার সঙ্গে কথা কই। তাই হলে, ওর কাছে বারবার যেতাম না। বিদায়। সবাই ভালো থাকো।ওর জন্য আমার অনেক কথা শুনতে হইছে। আমি ওর উচিত শিক্ষা চাই। good bye

এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া জানান,  ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর