ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দিয়েছে একদল বিএনপি কর্মী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতার উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরাসরি গিয়ে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তালা ভেঙে কক্ষটি খুলে দেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অফিস ত্যাগ করার পর তার কক্ষে তালা দেন বিএনপি কর্মীরা এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম। পরে তার নির্দেশে গ্রাম পুলিশ কক্ষের তালা ভেঙে দেয়।
সাম্প্রতিক একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিএনপির ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুল হামিদ যুবদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সাত দিনের মধ্যে বড়গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ফইজুল ইসলামকে পদত্যাগ করতে হবে, না হলে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রাম পুলিশের ভাষ্যমতে, দুপুরে চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পরপরই বিএনপির অনেক কর্মী এসে তার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।
তবে বিএনপি নেতা আব্দুল হামিদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন বড়গাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজার রহমান। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান ফইজুল ইসলামের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
সদর উপজেলার ইউএনও মো. খায়রুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, ‘খবর পেয়ে পরিষদে এসে দেখি চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দেওয়া। তবে নির্দিষ্ট করে কে বা কারা তালা দিয়েছে, তা কেউ বলতে পারছেন না। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সেগুলোর সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন, তবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি নির্দোষ হন, তাহলে তিনি আগের মতোই পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আমরা সাধারণ জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি, যাতে তারা নির্বিঘ্নে পরিষদের সেবা পেতে পারেন।’
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
প্রতিনিধি/একেবি

