রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘সাংবাদিক তুহিন হত্যায় যারা ইন্ধন দিয়েছে তাদের বিচার চাই’

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর
প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২৫ এএম

শেয়ার করুন:

‘সাংবাদিক তুহিন হত্যায় যারা ইন্ধন দিয়েছে তাদের বিচার চাই’

গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, তুহিনকে হত্যার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটজনকে মহানগর পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা পেছনে ইন্ধন দিয়েছে এবং টাকা খরচ করে ভাড়াটিয়া কিলার দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে তাদেরও দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তাদের দ্রুত বিচার চাই।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। নিহতের স্বজনদের পরিবারের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন যে প্রত্রিকায় কাজ করতেন সেই দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক খায়রুল আলম ও তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


নিহতের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং সিসিটিভি ফুটেজসহ সকল ডকুমেন্টারি যেভাবে আপনারা জনসম্মুখে এনেছেন আমি ও আমার পরিবার আপনাদের কাছে সারা জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ থাকবো। আপনাদের সত্য লিখুনির কারণে আজ আপনাদের সহকর্মী ও আমার স্বামী প্রয়াত সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের হত্যাকারীদের অপরাধ উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। না হয় আমার স্বামীর সহকর্মী প্রয়াত সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মতো আলামত নিখোঁজ ও তদন্তের নামে অনেক নাটক হতো। এটি শুধু আপনাদের (সাংবাদিকদের) জন্যই হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সকল ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। আজ আপনারা আমার পাশে আছেন বলে আমি এখনও পর্যন্ত কিছুটা সুস্থ আছি ও শক্ত আছি।

তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেন,  প্রয়াত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে সকল আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হোক। ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র জমা দিতে হবে।  মামলার বাদী, ঘটনাস্থলে সকল স্বাক্ষী ও আমার পরিবার এবং দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক খায়রুল আলম রফিকের জীবনের নিরাপত্তা এবং আমার পরিবারের সকলের জীবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের মামলা ৯০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে হস্তান্তর করে সর্বোচ্চ শাস্তির কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে হবে। বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত খুনিদের কারাগারে রেখে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন কারতে হবে। সে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করেছেন, তাই তার পরিবার ও আমার সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে। সারাদেশের সকল সাংবাদিক ভাই-বোনদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সাংবাদিকদের জন্য একটি আলাদা হটলাইন চালু করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার দাবি জানান ফরিদা বেগম।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর