মিরসরাইয়ে ২৪ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী হক সাবসহ (২৭) চারজনকে জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে র্যাব-১৫ ক্যাম্পের সদস্যরা কক্সবাজার শহরের লাবনী পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। এসময় দু’টি ওয়ান শুটারগান ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। র্যাব পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাতে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের খিলমুরারী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী হক সাব (২৭), একই গ্রামের মুক্তার হুজুর বাড়ির আবুল হোসেনের ছেলে আবু সাইদ (২৭), হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মেহেদীনগর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ইউসুফ প্রকাশ ডাক্তার (২৬) ও একই ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার ওবাইদুল হকের ছেলে এমরান হোসেন (২৭)।
![]()
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা হক সাবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গোপন হেফাজত থেকে দু’টি ওয়ান শুটারগান ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
র্যাব-৭ এর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (মিডিয়া) মেজর সাদমান সাকিব বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞাপন
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম আবদুল হালিম বলেন, হক সাবের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং পৃথক ৩টি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ২৪টি মামলার আসামি সে। অপর তিন আসামিও জোরারগঞ্জ থানার একাধিক মামলার এজাহারনামীয় ও সন্দিগ্ধ আসামি।
তিনি আরও বলেন, হক সাব দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামিদের রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত ১ আগস্ট রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমের দু’টি কারখানায় সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী হক সাবকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫২ জনের নামে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
প্রতিনিধি/এসএস

