ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেছেন পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৫টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের জন্য ৬৫৭জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। সে ক্ষেত্রে একটা সমস্যা আছে এইচএসসি পরীক্ষাও চলমান। পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীরা সকাল বেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে আসবেন। তবে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র ও প্রশ্নপত্র নিয়ে বিলম্বে শারীরিক (কসরত) পরীক্ষায় জন্য পুলিশ লাইন্স মাঠে যেতে পারবেন।
প্রার্থীদের শারীরিক (কসরত) পরীক্ষা আগামী ১০ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
শারীরিক (কসরত) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৩ আগস্ট ও ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ভাইবা পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো প্রার্থীরা হলে বসার পরে দেয়া হবে। প্রশ্নগুলো আসবে ঢাকা থেকে। তাই পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা মিলিয়ে যারা ভালো করবেন তারাই চাকরির জন্য চূড়ান্ত হবে। টাকা-পয়সা লেনদেনের মাধ্যমে কোনোভাবেই চাকরি পাওয়া সম্ভব না।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যে চাকুরি পাবে সে তার নিজ যোগ্যতায় চাকরি পাবে। তিনি বলেন, প্রতি বছরই ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষার আগে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। তিনি বলেন, দালালদের ব্যাপারে কোন তথ্য থাকলে আমাকে জানাবেন। কেউ দালালের ফাঁদে পা দিবেন না। দালালদের মাধ্যমে কেউ প্রতারিত হবেন না। দালালদের মাধ্যমে কারো চাকরি হবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য কোন কৌটা নেই। আমার জন্যও কোন কৌটা নেই। তাই পুলিশের নিয়োগে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ওবায়দুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম.এম. রকিব উর রাজা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/ এজে

