শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক ব্যক্তির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও জ্যাঠাশ্বশুর খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পটল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার ‘মূলহোতা’ মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, স্ত্রী মনিরা বেগম (৩৫), শাশুড়ি শেফালি বেগম (৫৫) ও জ্যাঠাশ্বশুর নূর মোহম্মদ ওরফে মাহমুদ হাজী (৭৫)। আহতরা হলেন, বাচ্চুনি বেগম, মনু মিয়া ও শাহাদাত হোসেন।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিন্টু মিয়া নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রী মনিরা বেগমের দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। কিছুদিন আগে মনিরা বেগম বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাত ৮টার দিকে বোরকা পরে মিন্টু মিয়া কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পটল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী, শাশুড়ি ও জ্যাঠাশ্বশুরকে গলাকেটে হত্যা করে মিন্টু। একই সঙ্গে আরও ৩ জনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে নেওয়ার পথে মনিরা বেগম মারা যান। বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার পর বাকি দু’জনের মৃত্যু হয়।
ঘাতক মিন্টু মিয়ার বাড়ি একই উপজেলার তাঁতীহাটি ইউনিয়নের গ্যাড়ামারা গ্রামে।
বিজ্ঞাপন
শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলেই মনিরা বেগমের মৃত্যু ঘটেছে এবং অন্য দুইজন বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/এএ