ভোলার চরফ্যাসনে জমি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে দুলাল চন্দ্র শীল ও তপন চন্দ্র শীল নামের আপন দুই ভাইকে গলা কেটে এবং আগুনে পুড়িয়ে লাশ গুম করার ঘটনায় অভিযুক্ত তিন আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও এই হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে ভোলার চরফ্যাসনের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী জজ মো. শওকত হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন - আসলামপুর ইউনিয়নের মো. বেল্লাল (৩৭), দক্ষিণ আইচা থানার দক্ষিণ চর মানিকার ইউনিয়নের মো. সালাউদ্দিন (৩০) ও একই ইউনিয়নের শরিফুল ইসলাম।
এদের মধ্যে শরীফুল ইসলাম পুলিশি হেফাজতে আটক আছেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ফাঁসির আসামি পলাতক রয়েছেন।
এছাড়াও আবুল কাসেমকে ৫ মাসের ও মো. আবু মাঝিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত দুই ভাই তপন চন্দ্র শীল ও দুলাল চন্দ্র শীল চরফ্যাশন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের পৈতৃক ৫৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে ভারতে চলে যান। ওই জমি ২০ লাখ টাকায় কিনে নেন আছলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বেলাল ও তার শ্বশুর আবু মাঝি। তবে তারা মাত্র তিন লাখ টাকা বায়না দিয়ে দলিল করে নেন। বাকি টাকা নেওয়ার জন্য তপন ও দুলাল ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। তখন দুই ভাইকে ঘোরাতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন বেলাল।
বিজ্ঞাপন
পরে ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল রাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দরী খাল ব্রিজের কাছে নির্জন বাগানে ডেকে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় নিহতদের ছোট ভাই নিপেন চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ে চরফ্যাসন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শরিফুলকে গ্রেফতারের পর খুনের রহস্য উদঘাটন হয়।
চরফ্যাসনের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হযরত আলী হিরণ জানান, ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায় বিচার পেয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে একজন জেলহাজতে। অপর দু’জন পলাতক আছেন।
প্রতিনিধি/ এমইউ

