প্রায় প্রতিদিনই রাতে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে এবং দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কমছে। এ পানি ওঠানামার ফলে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং প্রতিনিয়ত উঠানামা করছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। পরদিন সোমবার সকাল ৬টা, ৯টা, দুপুর ১২টা, বেলা ৩টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় পানি যথাক্রমে বিপদসীমার ৫, ৯, ১৫, ১৫ এবং ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বিজ্ঞাপন
আবার মঙ্গলবার একই সময়গুলোতে পানি বিপদসীমার ২১, ২০, ২১, ২০ এবং ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ৬টা, ৯টা, দুপুর ১২টা এবং বেলা ৩টায় পানি যথাক্রমে ১১, ১২, ১৫ এবং ... (সংখ্যাটি অসম্পূর্ণ) সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এভাবে প্রতিদিন পানি ওঠানামার কারণে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমছে না; বরং দিন দিন বাড়ছে।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, স্কুলের মাঠ এমনকি বসতবাড়িও। ফলে তিস্তা অববাহিকার মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
যাঁরা বন্যার পানি থেকে বাঁচতে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখনো বাড়ি ফিরতে পারেননি। পরিবারের ছোট সদস্য ও গবাদিপশু নিয়ে তাঁরা চরম বিপাকে রয়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রান্না করতে না পারার দুর্ভোগ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীগুলোর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিনে পানি কিছুটা বাড়তে পারে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, তিস্তার পানি আগামী দুই-তিন দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং এরপর কিছুটা বাড়তে পারে। এরপর আবার পানি কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিনিধি/একেবি

