গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও গোবিপ্রবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকের বিরুদ্ধে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী হৃদয় সরকারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা
রোববার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীরা এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এবং কিছু সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
মানববন্ধনে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান ইমন বলেন, আমরা এখানে যারা সমবেত হয়েছি, তারা শুধু এই হামলার প্রতিবাদ জানাতেই আসিনি। যারা অপরাধ করে, তারা বুক ফুলিয়ে হাঁটে, আর নিরীহরা বারবার রক্তাক্ত হয়। আমাদের এই বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে।

গত ৩১ জুলাই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেখানে অনেক নিরীহ শিক্ষার্থী আহত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় সরকারকে সম্পূর্ণ অকারণে, পূর্ব শত্রুতার জেরে কিছু শিক্ষার্থী রক্তাক্ত করে। যাদের নাম বারবার এই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। তারা ক্যাম্পাসে নৈরাজ্যের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। প্রশাসনও কার্যত এই তৎপরতায় নীরব থেকেছে বা উৎসাহ দিয়েছে। এজন্য এই পরিস্থিতির দায় প্রশাসনকেও নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং সেটা প্রশাসনকেই করতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে এর চেয়েও ভয়াবহ কিছু ঘটলে তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। যারা পড়াশোনার পথ ছেড়ে সন্ত্রাসকে বেছে নিয়েছে, তাদের জন্য ক্লাসরুমে কোনো জায়গা হতে পারে না। তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং আমার যে বন্ধু আহত হয়েছে, তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে ছাত্রদল নেতা শফিক ও তার অনুসারীরা ভাঙচুর ও হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন সদস্যসহ ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। হামলার সময় ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় সরকার রুম থেকে বের হলে তার মাথায় আঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রতিনিধি/এসএস

