বরগুনায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ কিছুটা কমলেও উদ্বেগজনক অবস্থানে রয়েছে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, চলতি বছর বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১৫ জনে। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলায় মারা গেছেন ছয়জন এবং অন্যান্য জেলায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ২৫৮ জন। এর বাইরেও জেলার অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন কয়েকশ রোগী।
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন। এছাড়া জেলার বামনা উপজেলায় তিনজন এবং পাথরঘাটায় সাতজনসহ মোট ১০ জন বিভিন্ন উপজেলায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন মোট ১৪৪ জন, যার মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ১১১ জন এবং অন্যান্য উপজেলায় ৩৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
উপজেলাভিত্তিক আক্রান্তের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগী পাথরঘাটা উপজেলায়। সেখানে ৩৩২ জন রোগী ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও আমতলীতে ৬০ জন, বেতাগীতে ৬২ জন, বামনায় ১৮৫ জন এবং তালতলীতে ১১৮ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে বরগুনা জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চার হাজার ৮৭১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমেছে। তবে বর্ষাকালে এডিস মশার বিস্তার বাড়ে, তাই যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে। এখন কম হলেও আগামীকাল বাড়তে পারে—এটা বলা কঠিন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে কিনা, তা জানতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো ছাড়া বিকল্প নেই।
প্রতিনিধি/ এমইউ

