খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজেনস অ্যান্ড টেকনোলজি’র ছাত্র প্রমীজ নাগের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় এ মামলা দায়ের করেন প্রমীজের চাচাতো ভাই প্রীতিশ নাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিক আহমেদ চৌধুরী জানান, প্রমীজ নাগ ওই ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন। একই বিভাগের আরেক সিনিয়র ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ছাত্রীটি বিভিন্ন সময় অর্থ সহায়তার পাশাপাশি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন কিনে দেয়। অনেক সময় সেই টাকা ফেরত চাইতো ওই ছাত্রী।
বুধবার দুপুর থেকে তারা একই সঙ্গে অবস্থান করছিলো। প্রমিজকে যে মারধর করা হয়েছে তার আলামত মিলেছে। ঘটনার পর থেকে মেয়েটি আত্মগোপন করেছে। তাকে খুঁজতে কাজ করছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ জানায়, প্রমিজের ঘরে বেশ কিছু স্থানে রক্তের দাগ ও সিসি টিভির ফুটেজে তার বান্ধবীকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে। এছাড়া একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা রয়েছে, ‘সে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেছে। তাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দিও। ওই টাকা নিয়ে সে ভালো থাকুক।’
বুধবার (২২ জুন) বিকেলে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে প্রমীজ নাগের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এসময় প্রমীজের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে রক্তের দাগ দেখা যায়।
প্রমীজ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার লড়া-সাচিয়া এলাকার জ্যোতির্ময় নাগের ছেলে।
এ ঘটনায় প্রমীজের জ্যাঠাতো ভাই প্রীতিশ নাগ বাদী হয়ে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার বান্ধবী সুরাইয়া ইসলাম মীমকে আসামি করে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সুরাইয়া ইসলাম মীম নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার মোল্লা আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। মীম ওই ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল থেকে প্রমীজ নাগের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
প্রতিনিধি/এইচই