রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এরিয়া বিল অনুমোদনে ঘুষ দাবির অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এরিয়া বিল অনুমোদনে ঘুষ দাবির অভিযোগ
প্রধান শিক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ।

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার কৈলং শেখবাড়ী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

তাদের দাবি, সরকারি বেতন কাঠামোর আওতায় নির্ধারিত এরিয়া বিল (বকেয়া) অনুমোদন পেলেও প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরের বিনিময়ে অর্ধেক টাকা দাবি করছেন।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ২৭ মে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে স্কুলের তিন সহকারী শিক্ষক ও দুই কর্মচারী স্বাক্ষর করেন।

পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেন ইউএনও।

শুক্রবার (১ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুয়েল সাংমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লিখিত অভিযোগে শিক্ষক-কর্মচারীরা উল্লেখ করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও কর্মচারীদের এরিয়া বিল অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বিলের অর্ধেক টাকা না দিলে তিনি বিলপত্রে স্বাক্ষর করবেন না এবং কর্তৃপক্ষের কাছে তা পাঠাবেন না।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

উপজেলা দফতরির প্রতারণা: ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায়

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার অনুরোধ করলেও তিনি তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন বলে অভিযোগকারীদের দাবি। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।

এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় ঘুষের অভিযোগ করছে। অভিযোগ সত্য নয়, এটা একটা ষড়যন্ত্র। ইতোমধ্যে আমি স্বাক্ষর করে দিয়েছি, কয়েকজন টাকা পেয়েও গেছে। অন্য অনেক স্কুলে তো এরিয়া বিল দেয়ই না। আমি তো তবু দিচ্ছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, বারবার বলার পরও প্রধান শিক্ষক এরিয়া বিলে স্বাক্ষর করছেন না। অন্যান্য স্কুলে অনেক আগেই এরিয়া বিল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু এই স্কুলে এরিয়া বিল আটকে আছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

ইউএনও রুয়েল সাংমা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন এখনও হাতে পাইনি। প্রতিবেদন দেখে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর