রংপুর জেলার গংগাচড়া থানায় গণধর্ষণের পরে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন এজাহারনামীয় আসামি মো. জুয়েল মিয়া (২২)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব: ১৩-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ৩০ জুলাই বুধবার র্যাব-১৩ এবং র্যাব: ১-এর যৌথ অভিযানে ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানাধীন এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার জুয়েল মিয়া গংগাচড়া থানার গজঘণ্টা ইউনিয়নের পূর্ব রমানান্ত এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভুক্তভোগী রান্নার জন্য পাটশাক আনতে পাটখেতে গেলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভুক্তভোগীকে জীবননাশের হুমকিসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তারা। চক্ষুলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী বিষয়টি গোপন রাখলেও আসামিরা পুনরায় দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য কুপ্রস্তাব দিতে থাকে।
এরই একপর্যায়ে গত ৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগীর শ্বশুর স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন ও চৌকিদারকে নিয়ে তার বাড়িতে উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু, কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে উল্টো ভুক্তভোগীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও আত্মহত্যা করার কথা বলে দুর্বৃত্তরা। বৈঠকের পরের দিন ৮ জুলাই ভুক্তভোগী শয়নঘরে ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফিসহ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি আমলে নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সদর কোম্পানি এবং র্যাব-১, ব্যাটালিয়ন সদর ক্যাম্পের একটি যৌথ অভিযানিক দল জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতার জুয়েল মিয়াকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

