হবিগঞ্জ জেলার ৫৫ বিজিবি গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি পৃথক বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে ভারতীয় গাঁজা, শাড়ি, কসমেটিকস ও বিপুল পরিমাণ চা-পাতাসহ এক কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের মালামাল জব্দ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫৫ বিজিবি জানতে পারে যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে একটি বড় চোরাচালান হতে পারে। এই সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে কৌশলগত অবস্থান নেয়।
এ সময় সিলেট থেকে ঢাকামুখী একটি ট্রাক তল্লাশি করে বিজিবি সদস্যরা দেড় হাজার পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ি ও ছয় হাজারের অধিক বিভিন্ন প্রকার কসমেটিকস জব্দ করেন। জব্দকৃত পণ্যের আনুমানিক মূল্য এক কোটি তিন লাখ ১৪ হাজার টাকা।
এছাড়া চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি ও গুইবিল বিওপির টহল দল সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে। এসব অভিযানে ৯১ পিস দামি ভারতীয় শাড়ি ও ২৫ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা।
পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার গুটিবাড়ী বিওপির একটি টহল দল চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করে ৫০ কেজি ভারতীয় চা-পাতা আটক করেছে।
বিজ্ঞাপন
৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান এই সফল অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা এবং চোরাচালান-মাদক পাচার প্রতিরোধে ৫৫ বিজিবি সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের জওয়ানরা দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে এই অবৈধ কার্যক্রমগুলো বন্ধ করা যায়। এই অভিযানগুলো আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞারই একটি প্রমাণ। আমরা ভবিষ্যতেও সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি রাখব এবং যেকোনো চোরাচালান ও মাদক পাচার প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করব। ৫৫ বিজিবি কর্তৃক আটককৃত সব মালামাল এবং মাদকদ্রব্য আইনানুগ প্রক্রিয়ায় হবিগঞ্জ কাস্টমস অফিসে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি জুলাই মাসে ৫৫ বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত তিন কোটি ৭৫ লাখ ২১ হাজার ৫৭০ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার পণ্য, মাদকদ্রব্য ও যানবাহন জব্দ হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এমইউ

