শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আ.লীগ নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২, ০২:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে আ.লীগ নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লায় স্ত্রীর মর্যাদা, সন্তানের স্বীকৃতি, জীবনের নীরাপত্তা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিশাত আহম্মেদ খান নামে এক মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী।

নিশাত খান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলার জাতীয় মহিলা সংস্থার সদস্য।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার স্বামী মো. মিনহাজুর রহমান এর বিরুদ্ধে লিখিত আকারে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১১ সালে তার স্বামী মিনহাজুর রহমান ইতালি থাকা অবস্থায় তার ভাগ্নে অ্যাডভোকেট শহিদুল হক স্বপনের মধ্য দিয়ে পরিচয় হয়। ২০১৩ সালে সে দেশে এসে নিশাতকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে মিনহাজের সঙ্গে বিয়ের দিন ধার্য্য হয়। নূরপুর হাউজিংয়ের বাসায় বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের পূর্ব মুহূর্তে সে কাবিন রেজিস্ট্রি করতে পারবে না, কারণ হিসেবে সে জানায় তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে একটা মামলা চলমান আছে। ওই মামলাটা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাবিন রেজিস্ট্রি করা যাবে না। মামলা শেষ হলে দুই মাস পর কাবিন রেজিস্ট্রি হবে এই শর্তে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। ওই দিন থেকেই তিনি নূরপুর হাউজিং এর বাসায় বসবার শুরু করেন। বিয়ের ১৯ দিন পর মিনহাজ আবারও ইতালি চলে যায়। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর মিনহাজ বাংলাদেশে আসে। পরদিন ৩০ ডিসেম্বর বাসার মধ্যে কাজী এনে বিভিন্ন কাগজে নিশাতের স্বাক্ষর নেয় এবং বিয়ে রেজিস্ট্রার করা হয়েছে বলে মিনহাজ জানায়।

নিশাত বলেন, ‘বিয়ের আগে মিনহাজের বিরুদ্ধে ইতালিতে একটি জালিয়াতি ও মানব পাচার মামলা হয় যা আমি জানতাম না। বিয়ের পর মিনহাজ ইতালি ব্যবসার অযুহাতে ইংল্যান্ডে চলে যান। লন্ডনে ব্যবসার কথা বলে আমার ঠিকাদারি ব্যবসার সমস্ত টাকা এবং বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে নেয় মিনহাজ। কুমিল্লার বাড়ি, ঢাকার ফ্লাট মিনহাজ ও আমি তার স্ত্রী হিসেবে যৌথ স্বাক্ষরে বন্ধক ও ভাড়া দিয়ে মিনহাজ টাকা নেয়। একটা সময় অতিরিক্ত টাকার চাপ বেশি দিলে আমি অক্ষমতা জানাই। এর জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করে, আমাকে বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরই মধ্যে হঠাৎ করে আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিনহাজ।’

নিশাত আরও বলেন, ‘এরই মাঝে আমার কোল জুড়ে আসে একমাত্র পুত্র মিনশাত রহমান স্বাধীন, যার বয়স এখন ৪ বছর ২ মাস। সে সন্তান বর্তমানে মারাত্মক হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত। তার ছেলের চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ডাক্তার বলেছে শিশুটিকে সিঙ্গাপুর নিয়ে চিকিৎসা করাতে। সম্প্রতি টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন মিডিয়ার অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে আমি নাকি তার স্ত্রী না।’


বিজ্ঞাপন


নিশাত আরও বলেন, ‘স্ত্রী না হলে ৮ বছর তার সঙ্গে কিভাবে সংসার করলাম। পাসপোর্টসহ সকল কাগজে কিভাবে নিশাতের নাম আসলো। ৮ বছর তার বাড়িতে কিভাবে বসবাস করছি?’

নিশাত তাকে ও তার সন্তানটিকে বাঁচাতে প্রশাসন ও সরকারের কাছে দাবি জানান। তিনি জানা, তার স্ত্রীর মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে। তিনি দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মিনহাজ যে কোনো সময় তাকে হত্যা করতে পারে। তাই তিনি নিজের ও সন্তানের জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর