মুন্সিগঞ্জে মাত্র ২৪ দিন বয়সী নবজাতককে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গর্ভধারিণী মায়ের বিরুদ্ধে।
পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটিকে পানিতে ফেলে মা সারথী মণ্ডল (৩৭) এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার শুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
![]()
শিশুটির বাবা দিনেশ মণ্ডল (৪৪) জানান, তাদের তৃতীয় সন্তানটি কিছুদিন আগে জন্ম নেয়। বড় ছেলে ও মেয়ের পর সদ্যজাত এই পুত্রসন্তানকে নিয়ে স্ত্রী সারথী মণ্ডল তার বাবার বাড়ি শুলপুরে ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। তবে শুক্রবার ভোররাতে শিশুটিকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে বাড়ির লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপর পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুটির পরিবার সদস্যরা জানায়, শিশুটি ভোর চারটার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। খবর পেয়ে দিনেশ মণ্ডল ও তার আত্মীয়রা শুলপুরে ছুটে যান সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে।
বিজ্ঞাপন
![]()
পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের ধারে শিশুর ব্যবহৃত কাঁথা দেখতে পেয়ে পুকুরের দিকে অনুসন্ধান চালানো হয়। এরপর সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর শিশুটিকে দ্রুত শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুনিয়া আক্তার জানান, শিশুটি অনেক আগেই মারা গেছে।
শিশুর বাবা দিনেশ মণ্ডল আরও বলেন, আমার স্ত্রী মানসিক সমস্যায় ভুগছে। আমি সন্দেহ করছি, সে-ই আমার ছেলেকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে।
তার মুখেই শুনেছি, সে বলেছে ‘বাচ্চা আমার হাত থেকে কেমন করে যেন হারিয়ে গেছে’। এরপর আর কিছু বলতে পারেনি।
![]()
ঘটনাটি সিরাজদিখান থানার আওতাধীন হওয়ায় বিষয়টি তদন্ত করছে সেখানকার পুলিশ জানিয়ে, বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা খাঁন জানান, ঘটনাস্থল যেহেতু সিরাজদিখানে, তাই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেখানকার থানা পুলিশ।
তবে শিশুটির মরদেহ শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনায় আমরা প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
![]()
এদিকে সিরাজদিখান থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটির মা মানসিকভাবে অসুস্থ। বর্তমানে সারথী মণ্ডল আমাদের হেফাজতে রয়েছেন এবং আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি। পরবর্তীতে পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

