নেত্রকোনার আটপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অপর এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রাবেয়া আক্তার রুবি সংবাদ সম্মেলন করে তাকে মারধরের বিবরণ তুলে ধরেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় তিনি যথাযথ বিচার দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় উপজেলার অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী রাবেয়া আক্তার রুবি আটপাড়া উপজেলার অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। আর অভিযুক্ত স্ত্রী তাসলিমা কোহেন উপজেলার ছয়াশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষিকা রাবেয়া আক্তার রুবি বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম আমাকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। আমি তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা করতে থাকেন। আমি বিদ্যালয়ে ১০-১৫ মিনিট বিলম্ব করে আসায় আমাকে শোকজ করেন। তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে যাচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় গত বুধবার দুপুরে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী তাসলিমা কোহেন আমাকে স্কুলে এসে মারধর করেন। এসময় আশপাশের অনেক লোকজন উপস্থিত ছিল। তাসলিমা অন্য একটি স্কুলের শিক্ষিকা হলেও স্বামীর পক্ষ নিয়ে এসে আমাকে মারধর করেছেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা ছাত্রদল নেতা মুন্না খান শাহীন ও উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মিষ্টার বলেন, প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেছেন- আমরা তাকে মারধর করেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা বিদ্যালয়ে যাই এলাকাবাসী হিসেবে তার সঙ্গে উক্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে। যার ফলে সে রেগে গিয়ে মারধরের নাটক সাজিয়ে আমাদের রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাসলিমা কোহেনের স্বামী অভয়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ে দেরিতে আসায় শিক্ষিকা রুবিকে শোকজ করার কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়া করা লোক দিয়ে আমার ওপর হামলা করিয়েছেন। পরে আমার স্ত্রী বিষয়টি শুনে বিদ্যালয়ে এসে রুবির সঙ্গে ঝগড়া করেন। এখন তারা বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ মুকুল বলেন, সহকারী শিক্ষক রুবিকে প্রধান শিক্ষক শোকজ করেছিলেন সে বিষয়ে আমি অবগত। তবে রুবি শ্লীলতাহানি বা কু-প্রস্তাবের বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও এ বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন। রুবিকে মারধরের বিষয়টি জেনেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওইদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি- প্রধান শিক্ষকের পাঞ্জাবি ছেঁড়া। তাকে মারধরের ব্যাপারে জানি না।
প্রতিনিধি/এসএস

