জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি, মাইলস্টোনের ঘটনাকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ আবার পুনর্গঠিত হচ্ছে। আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাব—বাংলাদেশের স্বার্থে ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে 'জুলাই পদযাত্রা' পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় জেলা শহরের রেলগেইট এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ। পদযাত্রায় অংশ নেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহদিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অতীতের শাসকরা আমাদের একটি ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা দিয়ে গেছে। আপনি রাস্তায় বের হলে বাসের চাপায় প্রাণ যেতে পারে, হাসপাতালে গেলে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হতে পারে, বিমান বা লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির শঙ্কাও রয়েছে। বাংলাদেশে একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা নেই। আমরা এই রাষ্ট্র ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম একটি পুনর্গঠিত রাষ্ট্রব্যবস্থা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন ইংরেজিতে অনার্সধারী, আর বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলায় অনার্স করেছেন। অথচ যারা প্রকৃত অর্থে দক্ষ ও যোগ্য, তাদেরকে সরকারে বসিয়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যেত। আমরা একটি অযোগ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টার মাধ্যমে পরিচালিত ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা দেখছি। প্রশ্ন হলো—বাংলাদেশে কি কোনো ডাক্তার নেই?’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহদি প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

