নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে থাকা ছয়জন নারীসহ মোট ৮ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বিষয়টি ঢাকা মেইল-কে নিশ্চিত করেছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার (এসপি) আমজাদ হোসাইন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন এবং নাটোর বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাঈল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নিহতদের পরিচয়—ইতি খাতুন (৪০), স্ত্রী রফেজ চৌধুরী, প্রাগপুর, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া; জাহিদুল ইসলাম (৬৫), পিতা মৃত জিল্লুর রহমান, ধর্মদহ, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া; শেলি বেগম (৬০), স্ত্রী মৃত জাহিদুল ইসলাম, ধর্মদহ, দৌলতপুর; আঞ্জুমান আরা (৬০), স্ত্রী মোল্লা, ধর্মদহ, দৌলতপুর; আন্না বেগম (৬০), স্ত্রী শহিদুল ইসলাম, ধর্মদহ, দৌলতপুর; আনু বেগম (৫৫), স্ত্রী মিজানুর রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া; রুবেল হোসেন (৩২), মাইক্রোবাস চালক, গাংনী, মেহেরপুর; সিমা খাতুন, গাংনী, মেহেরপুর।
নাটোর বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইসমাঈল হোসেন জানান, মেহেরপুর থেকে এক পরিবার অসুস্থ ছেলের পুত্রবধূকে দেখতে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে যাচ্ছিল। পথে মাইক্রোবাসটি বড়াইগ্রামের আইড়মারী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন।
বিজ্ঞাপন
পরে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মারা যান। বাকি দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা গেছেন। বাকি দুজন রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’
পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, তবে ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন।’
প্রতিনিধি/একেবি

