রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

তেঁতুলিয়া সীমান্তের স্কুলগামী ১৬ ছাত্রী পেলেন বাইসাইকেল উপহার

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

তেঁতুলিয়া সীমান্তের স্কুলগামী ১৬ ছাত্রী পেলেন বাইসাইকেল উপহার

দেশের উত্তরের সীমান্ত গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ। প্রতিদিন সকালে বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে হাঁটা শুরু। স্কুল অনেক দূরে। পায়ে হেঁটে বা ভ্যানে করে যাতায়াত করতে হয়। সময়মতো পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। ক্লান্তি আর ভোগান্তি যাদের নিত্যসঙ্গী। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিজস্ব কোনো বাহন কেনার সুযোগও ছিল না তাদের পরিবারের।

কিন্তু এবার সেই চিত্র বদলে দিতে বিভিন্ন এলাকার এক দল ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াল উপজেলা প্রশাসন। নতুন একটি উদ্যোগে নতুন করে হাসি ফুটল দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ১৬ দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীর মুখে।


বিজ্ঞাপন


1000150279

তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে  উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে নতুন বাইসাইকেল। এতে শুধু তাদের যাতায়াতের কষ্ট লাঘবই হয়নি, বাড়বে পড়াশোনায় আগ্রহ, সময় ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে৷

উপজেলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের প্রাপ্ত সাধারণ বরাদ্দ/উন্নয়ন তহবিলেরে অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৬ জন দরিদ্র ছাত্রীকে বাছাই করে তাদের হাতে বাইসাইকেল তুলে দেওয়া হয়। এর আগেও এমন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সাইকেল দেওয়া হয়েছে উপজেলা পরিষদ পক্ষ থেকে৷

আরও পড়ুন

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে উত্তীর্ণ ৫ হাজার ২০৬ জন

বেগম খালেদা জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী জানায়, আগে বিদ্যালয়ে পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগতো অনেক, ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। আজকে উপজেলা থেকে নতুন বাইসাইকেলে উপহার পেলাম৷ তাই এখন খুব সহজে আমি বিদ্যালয়ে যেতে পারব। এতে অনেক সময় বাঁচবে আমার৷

এদিকে উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হাফসা মনি জানায়, বাইসাইকেল পেয়ে আমি খুবই খুশি। এখন স্কুলে যেতে পারব সহজেই৷ আমি মানুষ হতে চাই। এই সাইকেল আমার অনেক সহযোগিতা করবে৷

1000150275

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, এই উদ্যোগ মূলত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সময়মতো উপস্থিতি ও শিক্ষা কার্যক্রমে তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য। আমরা চাই, সমাজের প্রত্যন্ত এলাকার মেয়েরাও সমানভাবে এগিয়ে যাক, শিক্ষার পথ চলায় কোনো বাধা যেন না আসে।

এই ১৬টি বাইসাইকেল শুধু একেকটি বাহন নয়, এগুলো যেন প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলার প্রতীক। হেঁটে হেঁটে যারা ক্লান্ত হয়ে পড়ত, আজ তারা গর্ব নিয়ে সাইকেল চালিয়ে এগিয়ে চলেছে নতুন স্বপ্নের পথে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর