ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের নড়িয়া উপজেলার নশাসন মাঝিরহাট এলাকায় রাতের আঁধারে ছাত্রলীগের নামে চালানো একদল দুর্বৃত্তের আগুন জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটে এ ঘটনা।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫-২০ জনের একটি দল ১০-১২টি মোটরসাইকেলযোগে এসে গাছ, পাটকাঠি ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। তারা শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিয়ে হরতাল সফল করার আহ্বান জানায়। ওই সময় তারা নিজেদের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থক বলেও দাবি করে।
খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়ে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দেয়। পরে তারা সড়কে পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
ঘটনার পরপরই ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্টস লীগ’ নামে একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের পেজ থেকে অবরোধের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয়।
নশাসন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুজ্জামান হাওলাদার বলেন, রাতের অন্ধকারে একটি দুর্বৃত্তচক্র পরিকল্পিতভাবে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলতে চেয়েছিল। আমরা স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপি কর্মীদের নিয়ে তাদের প্রতিহত করেছি।
বিজ্ঞাপন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুর জেলা আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কিছু সদস্য দীর্ঘদিন ধরেই রাতে ঝটিকা মিছিল, সড়কে প্রতিবন্ধকতা ও জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। প্রশাসন তেমন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে এরা বারবার সাহস পাচ্ছে। আমরা এসব কার্যক্রম প্রতিরোধে মাঠে থাকব।
নড়িয়া থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের পক্ষে স্লোগান দিয়ে কিছু লোক গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা করেছে। স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দেয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের মতে, হঠাৎ করে ছাত্রলীগের নামে এমন অবরোধের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রশাসনের নিরবতা ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বিভক্ত ভূমিকা জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে

