সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা বলেছেন, ‘যারা অত্যন্ত অশালীন ভাষায় কথা বলছিলেন, তাদের কিন্তু গোপালগঞ্জে গতকাল একটি ভালো শিক্ষা হয়ে গেছে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় আমরাও ব্যথিত, কারণ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের নায়করা সেখানে ছিলেন—তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের সঙ্গীতা মোড় এলাকায়, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আইনুল ইসলাম নান্টা আরও বলেন, ‘যুবদলের সর্বোচ্চ অভিভাবক হচ্ছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। সেই অভিভাবকের প্রতি আপনারা যে আচরণ করেছেন, তা করার আগে আপনাদের ভাবা উচিত ছিল। আমরা বলতে চাই, কোনো অদৃশ্য শক্তির প্ররোচনায় পড়ে আপনারা যেন নির্বাচন বিলম্ব না করেন। যত তালবাহানা করেন না কেন—এই দেশে নির্বাচন হবেই। আর সেই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হবেন দেশনায়ক তারেক রহমান। তাই তারেক রহমান সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।’
ছাত্রশিবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা মুহূর্তে মুহূর্তে খোলস পাল্টাতে পারে। তারা আগে লুঙ্গির তলে ছিল শিবির, আর এখন ৫ তারিখের পরে আবার ছাত্রশিবিরের রূপ ধারণ করেছে। ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা মাসুদ যেভাবে অকথ্য ভাষায় কথা বলছে, তাতে মনে হয় যেন বাংলাদেশ তার বাবার লিজ নেওয়া সম্পত্তি। আমরা মাসুদকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি—মাসুদ, তুমি ভালো হয়ে যাও।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সমন্বয়ক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন, সাবেক সহ-সমন্বয়ক আলিমুজ্জামান আলিম, শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনারুল ইসলাম আঙ্গুর, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান প্রিন্সসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জজ কোর্ট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি

