গোপালগঞ্জে কারফিউ অমান্য করায় ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর তাদের গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান বিষযটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, কারফিউ ঘোষণার পর বুধবার রাতের গোপালগঞ্জ ছিল অনেকটাই ভূতুড়ে নগরী। সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করলেও দেখা যায়নি অন্যকোনো যানবাহন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হননি সাধারণ মানুষ।
আজ সকালে সেখানে থমথমে পরিবেশ দেখা যায়। তবে কারফিউয়ের মধ্যেও সড়কে সড়কে দেখা গেছে মানুষের উপস্থিতি। সংখ্যায় কম হলেও জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া এসব মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটছেন। সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সড়কে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তেমন কোনো উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
আজ সকালে শহরের ঘোনাপাড়া, এলজিইডি মোড়, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, কোট চত্বর, লঞ্চঘাট, কাঁচাবাজার ও পুলিশ লাইনস মোড় ঘুরে কোথাও কোনো চেকপোস্ট বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। তবে গোপালগঞ্জ পৌরসভার সামনে কয়েকজন গ্রাম–পুলিশের সদস্য ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে বিভিন্ন মোড়ে চায়ের দোকান ও রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে। সেখানে মানুষের জটলা দেখা যায়। কাঁচা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে বেশ কিছু ফলের দোকানে লোকজন ছিলেন। এদিকে, কারফিউয়ের কারণে স্থানীয়ভাবে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে বুধবার দিনভর দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে চারজন নিহত, অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/টিবি

