বরগুনার আমতলীতে জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দেওয়ায় আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধাকে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই মামলায় এর আগে এজাহার ভুক্ত এক নারী ইউপি সদস্যসহ দু’জনকে কারাগারে পাঠায় বিচারক।
জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের অভিযোগে চলতি বছরের ৪ মে মামলা করেন আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের মৃত মৌজে আলী প্যাদার ছেলে শাহিন প্যাদা।
বিজ্ঞাপন
গত রোববার ওই ইউপি চেয়ারম্যান নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বিজ্ঞ বিচারক।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. সাইফুল আলম জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের মৃত মৌজে আলীর প্যাদার পাঁচ ছেলে চার মেয়ে এবং দুই স্ত্রী রয়েছে। তার মৃত্যুতে মোট ওয়ারিশের সংখ্যা ১১ জন। ওয়ারিশরা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতার উদ্দিন মৃধার কাছ থেকে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি ৮১১৫ নম্বর স্মারকে, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখ ৪৩৭ স্মারকে এবং ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট তারিখের ৩৭ স্মারকে তিনটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। সব ওয়ারিশ সার্টিফিকেটেই মামলার বাদী শাহিন প্যাদার নাম ছিল।
আমতলী সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, ২০২৫ সালের ১২ জানুয়ারি ২১৩ ও ২০৫ স্মারকে দু’টি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট প্রদান করেন যাতে বাদী মো. শাহিন প্যাদার নাম নেই।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় মো. শাহিন প্যাদা ৪ মে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা, সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য মোসাম্মাৎ সাহিদা বেগম ও তার ভাই মো. ফারুক প্যাদাকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত রোববার ছিল মামলার হাজিরার তারিখ। ওই দিন নারী সদস্য সাহিদা বেগম ও ফারুক প্যাদা হাজির হলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। ওই মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. সাইফুল আলম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী মো. শাহিন প্যাদা বলেন, মামলার তিন নম্বর আসামি আমার ভাই মো. ফারুক প্যাদা জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিয়ে আমাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য সেটেলমেন্ট অফিসে কাগপত্র জমা দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পাব।
প্রতিনিধি/এসএস

