নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে ভুয়া ভোটার তালিকা প্রকাশের জেরে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে বিএনপির দুই গ্রুপ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটির একাংশ।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক ও কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী মো. রুহুল আমিন বলেন, আগামী ১৯ জুলাই ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে কাউন্সিলে অংশ নেয়া ভোটারদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী যে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়, সেটি করা হয়নি। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডের সভপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্য থেকে অধিকাংশ নেতা কর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। গঠনতন্ত্র বিরোধী ভোটার তালিকা প্রণয়ন, বিশেষ এক মহলকে বিজয়ী করার হীনষড়যন্ত্র ও ত্যাগী কারা নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে গঠনতন্ত্রের নিয়মাবলি উপেক্ষা করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এমদাদুল হক মুকুলের স্বাক্ষরে একটি অদ্ভুত মনগড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছেন। যা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।
তিনি আরো বলেন, এই কাউন্সিলে মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন হানজালা নামক হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী এবং চাঁদাবাজ একজন আওয়ামী দোসর। একসময় জামায়াতের অন্যতম কর্মীও ছিলেন। বর্তমান ও পূর্বে বিএনপিতে তার কোনো পদপদবি আছে কিনা জানা নেই। যিনি বিএনপির বর্জন করা নির্বাচন, আওয়ামী লীগকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ১৮ মার্চে উপজেলা নির্বাচন করেছেন।
রুহুল আমিন বলেন, কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী এম এ ওয়াদুদ বিএনপির দু:সময়ে অনেক তালবাহানা করেছেন, কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেননি অসুস্থতার দোহাই দিয়ে। অথচ ভোটার তালিকায় তিনিসহ তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও রক্তের সম্পর্কের আরো ৭জনসহ মোট ১১ জনের নাম রয়েছে। এ যেন এক আত্মীয়করণ তালিকা। সদস্য বা ভোটার হিসেবে এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে যাতে করে একটা বিশেষ পক্ষের বিজয় সুনিশ্চিত হয়।
বিজ্ঞাপন
নির্যাতিত এবং ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি দাবি করে ভুয়া এই ভোটার তালিকা বাতিল করে সত্যিকারের ত্যাগী নেতাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও নির্ভেজাল কমিটি গঠন করে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে আসন্ন দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের দাবিও জানান লিখিত বক্তব্যে তিনি।
![]()
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, সংগঠনের নীতিমালা অনুযায়ী ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে তফশিল দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই ভোটার তালিকার প্রস্তাবনা দেয়। সে অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একটি পক্ষ দলীয় কোন্দল সৃষ্টির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদককে জানানো হয়েছে। আমাদের নামে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
প্রতিনিধি/এসএস

