জামালপুরের ইসলামপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর রহিম খন্দকার খুনের প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে নিহতের বাড়ির পাশের সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে স্থানীয় জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে মানববন্ধনে রূপ নেয়। পরে রহিম খন্দকারের বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী রেহেনা খন্দকার লিখিত বক্তব্য দেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমার স্বামী ঘরে ফেরে। কিছুক্ষণ পর ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয়ে কয়েকজন দরজা খুলতে বলে। সন্দেহ হলে ভাতিজা সুমন ও তার ভাই সোহেলকে জানালা দিয়ে ডেকে তুলি। তারা বের হওয়ামাত্রই দুর্বৃত্তরা তাদের মারধর করে বেঁধে ফেলে। এরপর দরজা খুলতেই আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
![]()
নিহত ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম খন্দকারের ভাতিজা সুমন ও বড়ভাই সোলাইমান খন্দকারও এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু মামলা হওয়ার পরও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।
উল্লেখ্য, ২৮ জুন রাত ১টার দিকে ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা আব্দুর রহিমকে নিজ ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ১ জুলাই নিহতের স্ত্রী ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ইসলামপুর থানায় মামলা করেন।
![]()
আব্দুর রহিম খন্দকার ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের টানা দুইবার নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।
এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার এসআই শামছুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

