চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে (১৪ জুলাই) সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা মামলা দায়ের ও পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনাজ খাতুন।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৮ জুন রাতে খালেআলমপুর ছায়তনতলা এলাকা থেকে বিনা অনুমতিতে তাকে গ্রেপ্তার করে ভোলাহাট থানার ওসি শহিদুল ইসলাম এবং জেলা সদরের সার্কেল অফিসার ইয়াসির আরাফাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। তিনি আরও জানান, পথেই তাকে বেত্রাঘাত করা হয়, গলার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালাগালি করা হয়। পরে একটি নির্জন কক্ষে আটকে রেখে মধ্যযুগীয় পদ্ধতিতে নির্যাতন চালানো হয়।
বিজ্ঞাপন
শাহনাজ খাতুন আরও বলেন, চোখ বাঁধা ও হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় তাকে দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা ‘আয়না ঘরে’ আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসা না দিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখলেও ওসি মতিউর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং উল্টো তাকে হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহনাজ বলেন, ‘আমি একজন নারী, আর আমার গায়ে পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তা হাত তুলেছে—এটা শুধু আমার জন্য নয়, বরং দেশের সব নারীর জন্য অবমাননাকর।’
তিনি এ ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শাহনাজ খাতুনের পাশাপাশি তার বোন আফরোজা এবং ভুক্তভোগী তাজকেরা বেগমের মেয়ে কমেলা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, শাহনাজের অভিযোগ অস্বীকার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেত্রী শাহনাজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।’
প্রতিনিধি/একেবি

