রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাবিতে ফুডকার্ট চুরির অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

রাবিতে ফুডকার্ট চুরির অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এস্টেট দফতর থেকে এক ব্যবসায়ীর ফুডকার্ট তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল কর্মী হাসিবুল ইসলাম হাসিবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ব্যবহার করে প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই স্টোর শাখা থেকে ফুডকার্টটি সংগ্রহ করেন। পরে সাংবাদিকের অনুসন্ধান ও ফোনকলের পর তিনি তা ফেরত দেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আখতার হোসেন জানান, রমজান মাসে পরিবহণ মার্কেটে পরিচালিত অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় তার ফুডকার্টটি জব্দ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দফতর। তখন তাকে জানানো হয়েছিল, টেন্ডারের মাধ্যমে অনুমতি ছাড়া জব্দ করা দোকান ফেরত দেওয়া হবে না। তাই তিনি ধৈর্য ধরে প্রশাসনের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

ইবিতে সাংবাদিক মারধর: ২২ ঘণ্টা পর ফোনের সন্ধান মিললেও তথ্য উধাও!

তবে সম্প্রতি ছাত্রদল নেতা হাসিব আবেদন দিয়ে এবং নিজের আইডি কার্ড ব্যবহার করে স্টোর শাখা থেকে ফুডকার্টটি নিয়ে যান। আখতার হোসেন অভিযোগ করেন, তার কাছে বৈধ কাগজপত্র ও মালিকানার প্রমাণ থাকলেও তাকে ফুডকার্টটি ফেরত দেওয়া হয়নি, বরং একজন ছাত্রনেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে আখতার আরও বলেন, আমি স্টোর শাখায় গিয়ে ফুডকার্ট না পেয়ে এস্টেট অফিসে অভিযোগ জানাই। প্রশাসক তখন বিষয়টিকে ভুল বলে স্বীকার করেন এবং হাসিবকে ফোন দেন। এরপর হাসিব আমাকে ফোনে হুমকি দিয়ে দেখা করতে বলেন।

পরে সাংবাদিকের ফোনকলের পর হাসিব নিজেই আখতারকে ফোন করে অনুরোধ করেন বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ না করার জন্য। এরপর তিনি ফুডকার্টটি ফেরত দেন।  এ বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) ফোন দেওয়ার পরই সে আমাকে ফোন দেয় এবং পরে ফুডকার্ট ফেরত দেয়।


বিজ্ঞাপন


RU-

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিবুল ইসলাম হাসিব বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি আখতারের সঙ্গে কথা বলছি। ও আপনাকে সব জানাবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দফতরের প্রধান মো. রজব আলী বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক অবৈধ খাবারের দোকান রয়েছে, যেগুলোর কোনো অনুমোদন নেই। তাই প্রশাসন এসব দোকান উচ্ছেদ করে। আখতারের দোকানটিও এমনভাবেই উচ্ছেদ করা হয়েছিল। সাধারণত এসব দোকান ফেরত দেওয়া হয় না। তবে মানবিক বিবেচনায় আমরা মাঝে মাঝে ফেরত দেই।

তিনি আরও বলেন, হাসিব আমাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ আবেদন জমা দেয়। আমরা যাচাই করে দোকানটি তার কাছে হস্তান্তর করি।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত হাসিবের বিরুদ্ধে এর আগেও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তিনি একবার সংগঠন থেকে বহিষ্কৃতও হন।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর