কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দুই শিক্ষককে হত্যার হুমকি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক শিক্ষার্থী। হুমকিদাতা ওই শিক্ষার্থীর নাম কামরুল হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১ম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও বর্তমানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার কুমিল্লা প্রতিনিধি।
হুমকির শিকার শিক্ষকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাসুদা কামাল এবং সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ্। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন এবং শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গত শুক্রবার (১১ জুলাই) কুবিতে জুলাই স্মরণে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মুতাসিম বিল্লাহ ওই দিনই প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এবং গত শনিবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানা গেছে। আজ রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।

থানায় অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষক মুতাসিম বিল্লাহ জানান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হাসান কামরুল (মো. কামরুল হাসান) একাধিকবার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ফুল দেওয়ার বিষয়ে তাকে অবহিত করেন। প্রতিবারই তিনি তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। একপর্যায়ে মোতাসিম বিল্লাহ নিজেই বিষয়টি উপ-উপাচার্যকে জানালে তিনি বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে মঞ্চে নয়, গেটে ফুল দেওয়া যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন

এই বার্তা হাসান কামরুলকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং জোরে হুংকার দিয়ে বলেন ‘উপ-উপাচার্যের খবর আছে।’ মোতাসিম বিল্লাহ তাকে শান্ত করতে চাইলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে ইশারা করে ও চোখ রাঙিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ঘটনাটি উপস্থিত শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, অতিথি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনেই ঘটে। এই বিষয়ে কামরুল হাসান জানান, তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না।
কোটবাড়ি পুলিশ ফাড়ির এসআই টিটু কুমার নাথ বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

মানবন্ধনে অংশ নেওয়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেন— রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের সময় শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হাসান কামরুলকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও সহকারী প্রক্টর মুতাসিম বিল্লাহর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
![]()
এবিষয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চিফ রিপোর্টার মানিকুল আজাদ বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। এরপর যদি সত্যতা পাই তাহলে ব্যবস্থা নেব। সে যে কাজটা করেছে এটা বাসস'র নীতিমালা বিরোধী।
প্রতিনিধি/এসএস

