ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজার পাশের খাঁনবাড়ি এলাকায় তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি প্রাইভেট কারসহ পাঁচটি যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শিশু ও নারীসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
তবে এ দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে লোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা সেতুর উত্তর থানা গোলচত্বর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বিঘ্নিত হয় মহাসড়কে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে ঢাকা গামী ‘ইমাদ পরিবহন’-এর একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস প্রথমে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় সামনে থাকা ‘গোসাইরহাট এক্সপ্রেস’ নামে একটি যাত্রীবাহী বাসকে। এরপর তা ধাক্কা লাগে ‘ইলিশ পরিবহন’-এর আরেকটি বাসের সাথে।
একই স্থানে পরপর ধাক্কা লাগে একটি প্রাইভেট কারসহ আরও দুটি যানবাহনে। এতে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
দুর্ঘটনার পর থেকে ‘ইমাদ পরিবহন’-এর অভিযুক্ত বাস চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ জানান, দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি আহতদের অবস্থা গুরুতর নয় বলেও জানান।
এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন জব্দ করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী।
প্রতিনিধি/একেবি
