মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজি ও গণিতে ফল বিপর্যয়ে কমেছে পাসের হার

সাকলাইন যোবায়ের, কুমিল্লা
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:০২ এএম

শেয়ার করুন:

কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজি ও গণিতে ফল বিপর্যয়ে কমেছে পাসের হার

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে গণিত ও ইংরেজিতে ফল বিপর্যয় হয়েছে। এ কারণে কমেছে পাসের হার, জিপিএ-৫ এবং শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় বোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণার সময় সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম। এ বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ছিল ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম বলেন, এ বছর আবশ্যিক বিষয় গণিতে ফেল করেছে ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং ইংরেজিতে ফেল করেছে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ। তাই, গত বছরের তুলনায় ফলাফল কমেছে।

এদিকে ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২, গত বছর জিপিএ-৫ ছিল ১২ হাজার ১০০। গত বছর শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৯৮, এ বছর শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান মাত্র ২২টি। এ বছর একটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। একজনও পাস না করা ওই স্কুল কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের ৩২ জনের সবাই ফেল করেছে।

আরও পড়ুন

কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ

পাসের হারের দিক থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গড় পাসের ৮৮ দশমিক ০১, মানবিকে ৪৬ দশমিক ৭৭ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৫৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। মেয়েদের গড় পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৬ এবং ছেলের ৬২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৯৫ জন এবং ছেলেদের মধ্যে পেয়েছে ৪ হাজার ৪০৭ জন। পাসের হারে মেয়েরা ৬৪ দশমিক ২৬ এবং ছেলেরা ৬২ দশমিক ৬৯ শতাংশ পেয়েছে।


বিজ্ঞাপন


ফলাফল ঘোষণার সময় বোর্ডের সচিব অধ্যাপক খোন্দকার ছাদেকুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন ,উপসচিব (প্রশাসক) মাসুম মিল্লাত মজুমদার, মাধ্যমিকের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমেদ, উপ-পরিচালক (হিসাব) মো. শাহজাহান। উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) কাজী আপন তীবরানীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে অধিক পরীক্ষার্থী ফেল করার বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম  বলেন, এ দু'টি বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকের বিকল্প নেই। তাই, দু'টি বিষয়ে আমরা শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে অধিক শিক্ষার্থী ফেল করেছে এবং একটিতে সবাই ফেল করেছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর