রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সড়ক দুর্ঘটনারোধে ‘পথচারীদেরও শাস্তি’ দেওয়ার দাবি পরিবহন নেতার

জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী
প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

সড়ক দুর্ঘটনারোধে পথচারীদেরও শাস্তি দেওয়ার দাবি পরিবহন নেতার
নজরুল ইসলাম হেলাল

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গাড়িচালকদের পাশাপাশি পথচারীদেরও শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন উত্তরবঙ্গ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের নবনির্বাচিত মহাসচিব নজরুল ইসলাম হেলাল। তার মতে, সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে শতকরা ৭০ শতাংশ মানুষ রোডের নীতিমালা বোঝে না। এ কারণেই সড়ক-মহাসড়কে এত বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে ঢাকা মেইল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। হেলাল রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপেরও সাধারণ সম্পাদক।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘আমরা বৈষম্য দূর করে সকল মালিককে সঠিক পাওনা পৌঁছে দেব বলেই মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছি। দুর্ঘটনা ঘটলে যে ১৭০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়, সেটা সরকারের নামে কাটা হলেও এটি আসলে আমাদেরই টাকা। যদি কোনো ভ্যানচালকের দুর্ঘটনা হয়, তবুও যদি সরকার ওই টাকা কেটে নেয়, আমি এর বিরুদ্ধে কথা বলব, প্রতিরোধ করব। আমাদের শ্রমিক-মালিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সরকারের সঙ্গে থেকে আমি কাজ করব। সবাইকে একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থা উপহার দেওয়ার জন্যই আমি নেতৃত্ব গ্রহণ করেছি।’

হেলাল আরও বলেন, ‘শ্রমিকরা অনেক পরিশ্রম করেন। আমি চাই একজন চালক যেন ৫–৬ ঘণ্টার বেশি গাড়ি না চালান। তারপরে অলটারনেট (বিকল্প) একজন চালককে দায়িত্ব দিতে হবে এবং মাঝখানে তাদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যেমন পুলিশ-প্রশাসন সরকারের অংশ, পরিবহন খাতটিও কিন্তু সরকারেরই একটি অংশ। আমি স্পষ্ট করে বলছি, যদি আমি বলি আমার ১৬টি জেলায় পরিবহন চলবে না—মোটরসাইকেল ছাড়া সব পরিবহন আমাদের অন্তর্ভুক্ত—তাহলে কুড়িগ্রাম বা দিনাজপুর থেকে চাল বা পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা চাই, সরকার আমাদের সহযোগিতা করুক, আমরাও সরকারকে সহযোগিতা করব।’

দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সড়কে সবাই চলে, কিন্তু শতকরা ৭০ শতাংশ মানুষই রোডের নিয়ম-কানুন বোঝে না। তারা জানেই না কীভাবে রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এজন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। আমি বিদেশে ছিলাম, ভ্রমণ করেছি—সেখানে দেখেছি পথচারী, সাইকেলচালক, রিকশাচালক সবাই তাদের নিয়ম মেনে চলে। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো নিয়ম মানা হয় না। মানুষকে চলাফেরার নিয়ম জানতে হবে। আমি এটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে যদি বসার সুযোগ পাই, তাহলে বলব—আইন যেন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়। শুধু চালককে বন্দী করে রেখে দিলে চলবে না। সবার ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগ করতে হবে। পথচারীকেও শাস্তি দেওয়া দরকার। আমরা চাই, আমাদের শ্রমিকদের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ন্যায্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিন দিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।’


বিজ্ঞাপন


সবশেষে হেলাল বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। তারা পালিয়ে যাওয়ার মানুষ নয়। তারা আমাদের আওতাভুক্ত, গাড়ির মালিকের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং লাইসেন্সধারী। এরা সবাই সরকারের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তাই তাদের আটকিয়ে বা গাড়ি জব্দ করে পরিবহন সংকট সৃষ্টি না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই।’

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর