গাজীপুরের শ্রীপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে এক স্কুলছাত্রকে তুলে নেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও দুটি ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার একটি ২২ সেকেন্ডের ভিডিও গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামে অবস্থিত হাজী প্রি-ক্যাডেট স্কুলে।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র মো. ফেরদৌস আহমেদ (১৪), উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে।
অপরদিকে, গ্রেফতার হওয়া প্রধান অভিযুক্ত মো. কাওসার আহমেদ (৩০), একই ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। এছাড়াও এমদাদুল হক, নূরুল হক, মোস্তফাসহ আরও কয়েকজন যুবক এই ঘটনায় সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা শার্ট পরা এক স্কুলছাত্রকে কয়েকজন যুবক মারধর করে জোরপূর্বক নিয়ে যাচ্ছে। স্কুলশিক্ষক রুবেল হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ছাত্রটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে, একজন টিশার্ট পরা অস্ত্রধারী ব্যক্তি রুবেলের দিকে পিস্তল তাক করে ভয় দেখায়।
পরে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসলে ফেরদৌসকে কিছুটা সময়ের জন্য মুক্ত করা সম্ভব হয়, তবে আবারও তাকে ধরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক জানান, স্কুলছাত্র অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে কাওসার আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানের সময় তার বাড়ি থেকে একটি খেলনা পিস্তল, দুটি ওয়াকিটকি সেট ও একটি ওয়াকিটকি চার্জার উদ্ধার করা হয়।
ভিকটিমের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওসি আরও জানান, গ্রেফতার হওয়া কাওসার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দায়ের করা একটি মামলারও পলাতক আসামি ছিলেন।
প্রতিনিধি/একেবি

