সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নোয়াখালীত টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, নাকাল সাধারণ মানুষ

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

নোয়াখালীত টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, নাকাল সাধারণ মানুষ

লঘু চাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে জেলার হাতিয়া ছাড়া বাকি আটটি উপজেলা ও পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের ও প্রজেক্ট। ক্ষতির শঙ্কায় আমনের বীজতলা ও বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত।

এদিকে, বিভিন্ন সড়ক পানির নিচে চলে যাওয়ায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা ও কিছু শ্রেণি কক্ষে পানি ডুকে যাওয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (৯ জুলাই) সকালে মাইজদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মাইজদীতে ১৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাত মঙ্গলবার রাতে কিছুটা কমেছিল। কিন্তু বুধবার ভোর থেকে আবারও একটানা ভারী বর্ষণ শুরু হয়। যার ফলে জেলা বেশির ভাগ এলাকার সড়ক, অলিগলি, পাড়া মহল্লা পানির নিচে প্লাবিত হয়েছে। পানি ডুকে পড়েছে মানুষের বাড়ি ঘরে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে জেলার কয়েক হাজার মানুষ।

জেলা শহর মাইজদীতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিবি অফিস, রেকর্ড রুম, জজ কোর্ট, বিদ্যুৎ অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসের সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি অফিসের নিচতলায় পানি ডুকে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা প্রত্যাশীরা। 

thumbnail_1000238840


বিজ্ঞাপন


টানা বর্ষণে শহরের প্রেসক্লাব সড়ক, রেড ক্রিসেন্ট, টাউন হল মোড়, ইসলামিয়া সড়ক, ডিসি সড়ক, মহিলা কলেজ সড়ক, জেল খানা সড়ক, নোয়াখালী সরকারি কলেজ সড়ক, মাইজদী বাজার সড়ক'সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

পৌরবাসী বলছে, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনে খাল, নালা ও জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে।

এছাড়া জেলার কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সকাল থেকে ওই সব এলাকায় চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, একটানা ভারী বর্ষণ ও জোয়ারে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ও চরএলাহী ইউনিয়নের বেশিরভাগ ওয়ার্ডের লোকজন। বেশিরভাগ বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। রান্না ঘরে পানি প্রবেশ করায় ব্যহত হচ্ছে রান্নাবান্না।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর