বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ও গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বশুর ও পুত্রবধূকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের মৃত পানা উল্লাহা প্রামাণিকের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আফতাব হোসেন (৭০) এবং তার সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে শাহজাহানের স্ত্রী মোছাঃ রিভা বেগম (২৮)।
জোড়া হত্যাকাণ্ডের খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার ভোর থেকে ওই বাড়িতে এবং আশপাশে শত শত মানুষ ভিড় করছে। স্বজন এবং পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেনি।
স্বজনরা জানান, অবসপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক আফতাব হোসেনের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে শাহজাহান আট বছর আগে সৌদি আরব চলে যান। তার স্ত্রী রিভা এক ছেলে নীরব এবং কন্যা মালিহাকে নিয়ে শ্বশুড় বাড়িতেই বসবাস করতেন। আফতাব হোসেনের ছোট ছেলে ঢাকায় বসবাস করেন।
আফতব হোসেন মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে তার ঘরে এবং পুত্রবধূ তার ৭বছর বয়সী মেয়ে মালিহাকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে মালিহা তার পাশে হাত বাঁধা এবং গলায় ফাঁস অবস্থায় তার মাকে পড়ে থাকতে দেখে পাশের বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। পরে এলাকাবাসী এসে ঘরের বাইরে রিভার শ্বশুড় আফতাব হোসেনকেও হাত বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দু’জনকে মৃত দেখার পর তারা পুলিশকে খবর দেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার সকালে গৃহবধূ রিভার ঘরে ঢুকে দেখা গেছে, ওই ঘরের আসবাবপত্রগুলো তছনছ করা হয়েছে। স্বজনরা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কোন কারণ তাৎক্ষণিকভাবে তারা জানাতে পারেননি। অবশ্য স্বজনদের কেউ কেউ বলছেন, আফতাব হোসেনের সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে এলাকাবাসীর বিরোধ চলে আসছিল।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব শত্রুতা, পারিবারিক বিরোধ কিংবা ডাকাতি, সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/ এজে

