শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

নকল ওষুধ ও প্রসাধনী কারখানায় অভিযান, একজনের কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:২১ এএম

শেয়ার করুন:

নকল ওষুধ ও প্রসাধনী কারখানায় অভিযান, একজনের কারাদণ্ড

ফরিদপুরে নকল ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানের সময় বিভিন্ন কোম্পানির নামে প্যাকেটজাত করা বিপুল পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে রিয়াজ শিকদার (২৬) নামে বিক্রয় প্রতিনিধিকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেগুলো নকল বিএসটিআই লোগো ও কোম্পানির নামে প্যাকেট করে বাজারজাত করা হতো। পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী আইনে মামলা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে একটি তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই অভিযান চালানো হয়।


বিজ্ঞাপন


এ সময় সেনাবাহিনী, কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি ও জেলা ড্রাগ সুপার মো. রোকনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

মানব শরীরের ব্রনসহ চর্মজনিত সমস্যার ওষুধ তৈরি করে প্যাকেটজাত করা হতো এখানে। এ ছাড়া শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, বডিওয়াশ, সাবান, শিশুদের ব্যবহৃত সাবান তৈরিসহ অসংখ্য পণ্যে ও কেমিক্যাল সামগ্রীও রয়েছে। এখান থেকে কিটোজেল, পারনিক্স, পারকিটসহ অসংখ্য নামি-বেনামি কোম্পানির প্যাকেটজাত করা হতো।

স্থানীয় ও অভিযান সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম খাবাসপুর মাওলানা আব্দুল আলিম সড়কের রহিমের মোড় এলাকায় নাম জুয়েল নামের এক ব্যক্তি বাড়িতে মাহফুজুর রহমান শিপন (৩৫) নয় মাস আগে বাসাটি ভাড়া নেন। এরপর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে এসব কর্মকাণ্ড শুরু করেন। অভিযানের সময় তিনি পালিয়ে যান। শিপন জেলার সদরপুর উপজেলার বেপারীডাঙ্গী এলাকায় বাসিন্দা।

জেলা ড্রাগ সুপার মো. রোকনুজ্জামান জানান, শিপন নামের ওই ব্যক্তি দুই ইউনিটের ভাড়া বাসায় অবৈধ কারখানা গড়ে তোলেন। কারখানাটিতে লাইসেন্স বা ওষুধ উৎপাদনের কোনো বৈধতা নেই। সেক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, যেহেতু কোনো অনুমোদন ছাড়াই ওষুধসহ এসব উৎপাদন করে আসছিলেন সেক্ষেত্রে এগুলো নিম্নমানেরও হতে পারে এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তবে এগুলোর নমুনা নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে গুনগত মান পরীক্ষা করা হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি জানান, অবৈধভাবে পণ্য উৎপাদন করায় আটক একজন কর্মচারীকে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯-এর ৪৫ ধারা মোতাবেক এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মালিকের বিরুদ্ধে ওষুধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ এর ১৪(১) ধারা মোতাবেক মামলা করার জন্য ড্রাগ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর