হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামে এক সন্তানের জননী কামরুন নাহারকে (৩০) হত্যার অভিযোগে স্বামী মোহাম্মদ আলী ওরফে তোফাজ্জলসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে, বিকেলে কামরুন নাহারের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার বারার বাড়ির লোকজনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সহিদ-উল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন— নিহতের স্বামী মোহাম্মদ আলী ওরফে তোফাজ্জল ও তার ভাবি ইউপি মেম্বার সোহাগ মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাজু মিয়ার মেয়ে কামরুন নাহারের সঙ্গে প্রায় সাত বছর আগে রাজনগর গ্রামের মোহাম্মদ আলী ওরুফে তোফাজ্জলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে কামরুনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত কামরুন নাহারের মামা ফেরদৌস অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নিকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এটা হত্যাকাণ্ড। এর সুবিচার চাই।
বিজ্ঞাপন
মোহাম্মদ আলী ওরুফে তোফাজ্জলের ভাই উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সোহাগ মিয়া বলেন, কামরুন নাহারের বাবার বাড়ির লোকজন আমাদের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে।
মাধবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ-উল্যা জানান, নিহতের বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই জনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খদিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রতিনিধি/টিবি