যশোরের ঝিকরগাছায় শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের ৩ জনের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় শুক্রবার (৪ জুলাই) মামলা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত জসিমকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
জসিম যশোরের শার্শা উপজেলার মো. সিদ্দিকের ছেলে। সিদ্দিক শার্শার বেনাপোলে তার শ্বশুরবাড়িতে থাকেন।
বিজ্ঞাপন
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে মা, মেয়ে ও ছেলের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন জসিম নামে এক যুবক।
যশোরের ঝিকরগাছা থানার ইন্সপেক্টর মো. আবু সাঈদ বলেন, শুক্রবার (৪ জুলাই) অ্যাসিডদগ্ধ রিপার বাবা জামাত আলী বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ গতকাল (৩ জুলাই) রাত থেকে সম্ভাব্য সব স্থানে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। জসিমকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন
প্রসঙ্গত, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামের জামাত আলীর মেয়ে রিপা খাতুনকে (২৬) নানা সময়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন তাদের পাশের গ্রাম মঠবাড়ি গ্রামের ফজুলুর রহমানের বাড়ির কাজের ছেলে জসিম (৩৫)। কিন্তু রিপা তার প্রস্তাবে রাজি হননি। সেকারণে ৩ জুলাই রাতে রিপাদের বাড়ির জানালা দিয়ে অ্যাসিড ছুড়ে মারে। সেইসময় জানালার পাশে খাটের ওপরে রিপা ছাড়াও তার ছোটভাই ইয়ানূর (৮) এবং মা রাহেলা বেগম (৪৮) বসেছিলেন। নিক্ষিপ্ত অ্যাসিডে ঝলসে যান তারা তিনজনই। এরপর তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত রিপা জানান, তিনি জানালার ধারে জসিমকে একটি হারপিকের বোতল হাতে দেখেছিলেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শিশু ইয়ানুরের পা, হাত ও বুকের বিভিন্ন জায়গা দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা খারাপ। এছাড়া তার মা ও বোনের শরীরের আংশিক দগ্ধ হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার তাহমিদ-উর-রহমান বলেছেন, শিশু ইয়ানুরের অবস্থা খারাপ। তাদের তিনজনকেই ঢাকায় রেফারের কথা বলা হয়েছে। কেননা এই ঘা শুকানোর সময় ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিনিধি/এসএস