সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাজিতপুরে ৬০ লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস

জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

বাজিতপুরে ৬০ লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ১২ ঘণ্টাব্যাপী যৌথ অভিযানে প্রায় ৬০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট ও চায়না/ম্যাজিক জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্যতম বড় এ অভিযানে অংশ নেয় উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া বাজার এলাকায় অভিযানটি পরিচালিত হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাজারের একাধিক গুদামে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা মালামালের মধ্যে রয়েছে ৬৪ বস্তা কারেন্ট জাল, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২,৪০০ মিটার এবং এর বাজার মূল্য আনুমানিক ১৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা ও প্রায় ১,০৫০ পিস চায়না/ম্যাজিক জাল যার দৈর্ঘ্য ২৬,২৫০ মিটার, এর বাজার মূল্য আনুমানিক ৪২ লাখ টাকা। আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাশিদ বিন এনাম বলেন, এটা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত ও তথ্যভিত্তিক অভিযান। অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য মজুত করা এসব জাল বাজিতপুরের নদী ও হাওরের জীববৈচিত্র্যের জন্য ছিল মারাত্মক হুমকি।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম রিয়েল বলেন, এই অভিযান ছিল আমার চাকরি জীবনের সবচেয়ে বড় অভিযান। রাত ৯টার পর স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় জালগুলো নদীপাড়ে খোলা জায়গায় পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধ্বংস কাজ শেষ হয়।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, এই জাল নদীতে নামলে হাওরের মাছের প্রজনন ও উৎপাদনে ভয়াবহ ক্ষতি হতো।

জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, এসব অবৈধ জাল—বিশেষ করে চায়না ও কারেন্ট জাল—মা মাছ ও পোনা নিধনে ভয়াবহ ভূমিকা রাখে। ফলে নদী ও হাওরের মাছের স্বাভাবিক প্রজনন চক্র চরম হুমকির মুখে পড়ছে।

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ভবিষ্যতেও এমন অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হবে। হাওরাঞ্চলের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও টেকসই মৎস্য উৎপাদনের স্বার্থে প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

স্থানীয়দের প্রশংসা ও উৎসাহে রাতভর চালানো এ অভিযানটি নদী ও হাওর রক্ষার অভিযানে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিনিধি/টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর