পিরোজপুরের নেছারাবাদে জাকির হোসেন (২২) নামের এক যুবককে খুনের দায়ে দুই সহোদরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০জুন) বিকেলে বিচারক মুহা. মুহিদুজ্জামান এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
দন্ডপ্রাপ্ত বাদশা শেখ (৫০), তার ভাই কাইউম শেখ (৪৫) নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোহাগদল গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়ির সীমানার নিয়ে বাদশা শেখের পরিবারের সাথে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর বিকেলে স্থানীয় কামালের চায়ের দোকানে বিরোধের জমি নিয়ে সালিস হয়। সালিস চলাকালে আব্দুর রশিদের ছেলে জাকির হোসেন সঙ্গে আসামিদের ঝগড়া হয়। এ সময় আসামিরা আব্দুর রশিদ ও তার তিন ছেলে জাকির হোসেন, মো. সুমন ও মামুন হোসেনকে মারধর করেন। আসামি বাদশা শেখের লাঠির আঘাতে জাকির হোসেন মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। গুরুতর আহত জাকির হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ৩১ অক্টোবর জাকির হোসেনের উন্নত চিকিৎসার তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ নভেম্বর দুপুরে তিনি মারা যান। ২ নভেম্বর নিহত জাকির হোসেনের বাবা আব্দুল মিয়া বাদী হয়ে বাদশা শেখকে প্রধান আসামি করে ১২ জানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি খান মো. আলাউদ্দিন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন কানাই লাল বিশ্বাস।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস জানান, এই মামলার এজাহারে লোহার রড থেকে আঘাত উল্লেখ থাকলেও সাক্ষীরা চাম্বল কাঠ দিয়ে আঘাতের কথা বলেছেন। এখানে মামলার সাক্ষীদের কথার সঙ্গে এজাহারের গড়মিল পাওয়া যায়। নিরপেক্ষ সাক্ষী দ্বারা ঘটনাটি পরিষ্কার না হওয়ায় আসামি পক্ষ সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এইচই
