সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভোলায় সংঘবদ্ধ সেই ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ১

জেলা প্রতিনিধি, ভোলা
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

ভোলায় সংঘবদ্ধ সেই ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ১

ভোলার তজুমদ্দিনে চাঁদার দাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে মারধর করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৮। তিনি মামলার এজাহার নামীয় ৫ নম্বর আসামি। তার নাম মানিক হোসেন।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


র‍্যাব: ৮-এর ভোলা ক্যাম্প কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে দুষ্কৃতকারীরা।’

তিনি আরও জানান, ভোলায় এক নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ঘটনায় বর্বরোচিত ও পশুর চেয়েও হিংস্রতায় গোটা দেশের মানুষ হতভম্ব। আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণ নিস্তার পেলেও দেশ এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয় বলেই নারীর ওপর এ ধরনের বর্বর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এ সময় তিনি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন ও তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল আহম্মেদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন সজিবকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


এছাড়াও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলায় চলছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে করা হয়েছে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল। 

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত খান জানান, ঘটনার পর পুলিশ একজন নারীকে আটক করেছে। ওই নারী ধর্ষিতার সতিন। এছাড়াও আজ দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে র‍্যাব মামলার এজাহার নামীয় ৫ নম্বর আসামি মানিককে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান আছে।

প্রসঙ্গত, গেল সোমবার ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লার পুকুর পাড় এলাকায় চাঁদার দাবিতে রাতভর স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় শ্রমিকদল, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী। এরপরেই ঘটনাটিকে ঘিরে ভোলাসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর