সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

করোনার ভুল রিপোর্ট

ঢাকার হাসপাতালের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৫, ১০:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

ঢাকার হাসপাতালের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা

চার বছর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিরূপণের প্রতিবেদনে জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা দায়ের হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার আদালতে এ মামলাটি করেছেন।

মামলার শুনানি শেষে সোমবার (৩০ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ইব্রাহিম খলিল অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরের জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকার বনানীর প্রাভা হেলথের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সিমিন এম আক্তার, পরিচালক ডা. জাহিদ হোসেন এবং প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা রেজোয়ান আল রিমন।

মামলায় কোভিড টেস্টের মনগড়া ও ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যাওয়া এবং প্রাণহানির অপচেষ্টার দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৩০৪ (এ), ৫১১ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ করেছেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার।

আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি তখনই মামলা করতে পারতাম। কিন্তু আসামিরা তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থাকায় মামলা করা সম্ভব হয়নি। দেরিতে হলেও আমি ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত সমন ইস্যু করেছেন। আশা করি যে আমি ন্যায়বিচার পাব।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের ৬ মার্চ আব্দুস সাত্তার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ৯ মার্চ তিনি ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে এনজিওগ্রাম করার জন্য যান। সেসময় দেশজুড়ে করোনা মহামারি চলছিল। এনজিওগ্রামের আগে কোভিড টেস্ট করানোর জন্য তিনি বনানীর প্রাভা হেলথ হাসপাতালে যান।


বিজ্ঞাপন


২০ মার্চ তাদের নির্ধারিত তিন হাজার ৪৭৫ টাকা জমা দিয়ে তিনি প্রাভা হেলথের মীরপুর কালেকশন সেন্টারে কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরের দিন তাকে দেওয়া প্রতিবেদনে তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে ডা. জাহিদ হোসাইন ও রেজোয়ান আল রিমনের নাম ও সই ছিল।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই প্রতিবেদন দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত আব্দুস সাত্তার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু পরবর্তীতে নিজের মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ না দেখে সন্দেহ হলে তিনি ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানে আবার নমুনা দেন। সেখানে তিনি করোনায় আক্রান্ত নন বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর তিনি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন এবং সুস্থ হন। সুস্থ হওয়ার পর প্রাভা হেলথ হাসপাতালকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। তারা নোটিশের উত্তর দেননি।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর