ফেনী সদর ও সোনাগাজী উপজেলার সংযোগস্থলে কালিদাস পাহালিয়া নদীর ওপর নির্মিত লেমুয়া-নবাবপুর ব্রিজটি পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে ২২ জুন ‘ফেনীর লেমুয়া-নবাবপুর ব্রিজ ধসের শঙ্কা জনমনে আতঙ্ক’ শিরোনামে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রচার করে ঢাকা মেইল। ওই সংবাদটি প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের দৃষ্টিগোচর হয়।
বিজ্ঞাপন
![]()
সোমবার (৩০ জুন) সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে পানিসম্পদ সচিব ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ এবং নদী ভাঙনের অবস্থা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি নদী ভাঙন নিয়ে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন।
![]()
পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, নদীতে পানির গতিপথের কারণে এখানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দ্রুত সেটি সোজা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করব। ব্রিজের পাশে রাস্তার ধসে যাওয়া গার্ডওয়াল দ্রুত সময়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চর কাটা এবং বাঁকা নদী সোজাকরণের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তাবনা প্রেরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোকে বরাদ্দ অনুমোদন করিয়ে দেব।
বিজ্ঞাপন
![]()
স্থানীয় সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির বলেন, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া এবং সোনাগাজী উপজেলা নবাবপুর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের চিন্তা করে কালিদাস পাহালিয়া নদীর ওপর ১৯৯০ সালের ২২০ ফুট দৈর্ঘ্যের বৃষ্টি নির্মাণ করে তান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। নদীর গতিপথের সমস্যার কারণে এটি বারবার পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৪ এর বন্যার সময় নদীর দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে সেতুটির রাস্তা ধসে পড়েছে। ২৫ হাজার মানুষের যাতায়াতের কথা বিবেচনা করে এটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।
![]()
স্থানীয় ছাত্রদল নেতা মাসুদ রানা জানান, আওয়ামী লীগের সময়ে অপরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সেতুটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় থেকেই নদীর দুইপাশের মাটি সরে গিয়ে শত শত মানুষের ঘরবাড়ি নদীতে ভেসে গিয়েছে। এখন ব্রিজটিও ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পরিদর্শনকালে সচিবের সাথে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সোহেল রানা, পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার, সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন ও নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সালাউদ্দিন সিফাতসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/এসএস

