ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকা বাবুই পাখিদের বাসার জন্য ছিল বেশ পরিচিত। তবে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে তালগাছ কেটে ফেলায়।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে মোবারেক আলী ফকিরের মালিকানাধীন জমির পার্শ্ববর্তী সড়কে থাকা গাছটি কেটে ফেলেন মিজানুর রহমান নামে গাছের পাইকার।
বিজ্ঞাপন
তারা শুধু গাছটিই কেটে ক্ষান্ত হননি। বাবুই পাখির শতাধিক ডিম, অর্ধশতাধিক বাচ্চা মেরে ফেলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে গেছে ওই এলাকার বাবুই পাখিদের নিরাপদ প্রজনন কেন্দ্র ও একমাত্র আশ্রয়স্থলটিও।
এ ঘটনায় রোববার (২৯ জুন) পরিবেশ আইন অনুসারে বন বিভাগ বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া তালগাছ কাটার অপরাধে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোবারেক আলী ফকির তার জমির পাশে থাকা তালগাছটি মিজানুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। গাছের ক্রেতা শুক্রবার গাছটিকে কেটে ফেলেন। স্থানীয়রা আপত্তি জানালেও তিনি গুরুত্ব দেননি।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গাছ কাটায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া পাখির বাসা ধ্বংস করার দায়ে বন বিভাগ বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, 'বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস করে আইন লঙ্ঘন করেছে তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দ্রুত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'
বিজ্ঞাপন
বন বিভাগ বরিশালের উপবন সংরক্ষক মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং ঘটনার সত্যতা পাই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দু’জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরিবেশ আইন অনুসারে বন বিভাগ বাদী হয়ে আজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে গাছ ক্রেতা মিজানুর রহমান এবং বিক্রেতা মোবারেক আলী আত্মগোপনে চলে যাওয়াতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিনিধি/ এমইউ

