সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এইচএসসির হলে ঢুকে ছাত্রদল নেতার নির্দেশনা, ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি

জেলা প্রতিনিধি, নাটোর
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

CA
পরীক্ষার হলে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন ছাত্রদল নেতা। ছবি- প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রদল নেতা কক্ষে প্রবেশ করে হাত উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সচিব বনপাড়া কলেজ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোহিনুর খাতুনকে কারণ দর্শানো নোটিস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। 

এছাড়া ওই কক্ষে পরির্শকের দায়িত্বে থাকা চার শিক্ষককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মোসাদ্দেক হোসেন, নারগিস আক্তার, মতিউর রহমান ও তসলিম উদ্দিন।


বিজ্ঞাপন


পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া রাকির সরদার নামে ওই ছাত্রদল নেতা বনপাড়া শহর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বনপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব সরদার রফিকের ছেলে। 

এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় বড়াইগ্রাম-২ (বনপাড়া কলেজ) কেন্দ্রের ২০৫ নম্বর কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের নিদের্শনা দিচ্ছিলেন ওই নেতা। এসময় ছবি তুলছিলেন তার এক সহযোগী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুধু পরীক্ষার্থী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কেন্দ্র প্রবেশের নির্দেশনা রয়েছে। একইসঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রের একশ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এসময় ছাত্রদল নেতা রাকিব সরদার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তার সহযোগীসহ কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিতে থাকেন। 

CA


বিজ্ঞাপন


সবশেষ ২০৫ নম্বর কক্ষে গিয়ে স্মার্ট ফোন দিয়ে নিজের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। এ ঘটনায় বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব বনপাড়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোহিনুর খাতুন বলেন, ‘বিষয়টি আমার অগোচরে ঘটেছে। তবে প্রশ্নপত্র বিতরণের আগেই ওই নেতা কেন্দ্র ত্যাগ করেন।’ 

তিনি বলেন, ২০৫ নম্বর কক্ষে দায়িত্বরত চারজন কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন,‘ ইউএনও মহোদয় আমাকে অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে আইগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি ৯টা ৪০ মিনিটে বনপাড়া কলেজ কেন্দ্র পৌঁছে উপস্থিত অভিভাবক ও বহিরাগতদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিই। এরপর শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শন টিম তাদের কার্যক্রম শেষ করে চলে যাওয়ার পর ১০টা ৪০ মিনিটে ওই কেন্দ্র ত্যাগ করি। 

তিনি জানান, এর আগে ছাত্রদলের ওই নেতা কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে ফেসবুকে ছবি ভাইরাল হওয়ার পরে ঘটনাটি আমার নজরে আসে। এরপর কেন্দ্র সচিবকে কারণ দর্শানো নোটিস দিতে বলা হয়েছে এবং ওই কক্ষের দায়িত্বরত চারজন পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর