সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়াসহ মারধরের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ 
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

নিকগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেচরাসহ মারধরের অভিযোগ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় আলী আজম মানিক (৩৩) নামের এক ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া করে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে নাসিম ভূইয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন


ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের তেরশ্রী বাহাদুরপুর গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে আলী আজম মানিক। সে ঘিওরের সাসস্ট্যান্ড এলাকায় কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের দোকান করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি একই উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোশারফ হোসেন ভূইয়া ওরফে বাচ্চু ভূইয়ার ছেলে নাসির ভূইয়া।    

লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত নাসিম ভূইয়া প্রায়ই ভুক্তভোগী আলী আজম মানিকের দোকানে বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসতেন। কাজ শেষে ঠিকমত টাকা দিতো না। পাওনা টাকা চাইলেই নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়াসহ চাঁদা দাবি করেন আলী আজম মানিকের কাছে। কিন্তু চাঁদা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে ব্যবসা করতে দিবে না বলেও হুমকি দেয় নাসির ভূইয়া। গতকাল সোমবার দিনগত রাতে কিছু কাজ নিয়ে আলী আজম মানিকের দোকানে যান নাসিম। এসময় মানিকের হাতে অন্য একজন কাস্টমারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাকে অপেক্ষা করতে বলেন। এতেই ক্ষীপ্ত হয়ে যান এবং ভুক্তভোগীর দাড়ি ধরে টানা হেচড়া করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ মারধর করে নাসিম। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়াসহ ব্যবসা করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় অভিযুক্ত নাসিম। এ ঘটনার পরে রাতেই ঘিওর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন আলী আজম মানিক।

এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী আলী আজম মানিক মোবাইলফোনে বলেন, নাসিম আমার দোকানে প্রায়ই বিভিন্ন কাজ নিয়ে আসতো। আমি তার কাজগুলো করেও দেই। কিন্তু কাজ শেষ টাকা দিতো না। আমি তার কাছে পাওনা টাকা চাইলেও আমাকে হুমকি দিতো, আমাকে ব্যবসা করতে দিবে না। গতকাল রাতে জমির খারিজের কাজ নিয়ে দোকানে আসে। দোকানে অন্য কাস্টামার থাকায় তাকে অপেক্ষা করতে বলি। এর পরই তিনি আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে যান এবং আমার দাড়ি ধরে টান হেচড়াসহ মারধর করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।

অভিযুক্ত নাসিম ভূইয়া দারি ধরে টানা হেচরা করে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করে, তার ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন।    


বিজ্ঞাপন


বিষয়ে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর